০৩ আগষ্ট ২০২৫ ইং, রাত হয়েছে ঘুমের সময় । আজকের কাজের শুরু করেছি সকালে। আজকে সকাল ৬ঃ৪০ এ ঘুম থেকে উঠেছি। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়েছি। কাজের জন্য রেডি হয়েছি। কিন্তু আজ তো বৃষ্টি রেইন কোর্ট কোন মতে পানি ঠেকানোর পরা। ফ্যাক্টরিতে গিয়ে এসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে বসদের ইন্সট্রাকশন শুনে আমাকে কাজে ভাগ করে দিল। আজ কাজ করেছি শামিম রেজা ভাইয়ের সাথে।
কি কাজ ছিল আমার?
আজ থ্রী ফেজ লাইনের পানির পাম্পে ওভারলোড রিলে লাগানো।
সেখানে সাহায্য করা। আর শিখার চেষ্টা করা। আজ শিখার বলতে কম্বাইন্ড বোর্ড এর লাইন ঠিক করে লাগানো শিখলাম।
গতকাল তো বলেছি ড্রিল করেছি। যদিও ৫ টার মধ্যে গতকাল ছুটি দিয়েছে।
আজ পুরো ১২ ঘন্টা কাজ করেছি। তবে মাঝে মাঝে বসার সুযোগ ছিল। মোটামুটি সময় দাঁড়িয়ে কাটিয়েছি। শামিম ভাই যা বলছে তাই কাজ করলাম।
আসলে শিখার শেষ নাই, শিখার সময় গালি খাবার কোন বিকল্প নাই।
হয়ত কাজ শিখার সময় গালি খেতে হবে। যাক ব্যাপার না। সবই ওপর ওয়ালার ইচ্ছা।
সন্ধ্যার একটু আগে কাজ শেষ হয়। পরে আবার আরেকটা রুমে ( সেন্ডেল ফিনিসিং রুমে) গেলাম সেখানে চেষ্টা করলাম কাজ করার।
ঐতিহাসিক একটা স্থানে দাঁড়িয়ে কাজ করেছি৷ অনেক পুরোনো একটা দালানে কাজ করছি। সেখানে অনেক আগের এয়ার কন্ডিশন রুম ছিল৷ সেখানে একটা দরজার ওপরে সেই পুরান আমলের বোর্ড লাগানো। কুব ভাল লাগলো দেখে ।।
কাজের পরুবেশকেমন ছিল?
স্যাত স্যাতে পরিবেশ। ছাদ চুয়ে পানি পড়ছে। মেঝেতে পানি পড়ে আছে। সেখানে টুলস রাখলেই ভিজে যাবে। এই মিলিয়ে কাজ করছিলাম।
৪৪০ V তে কাজ মানে সব মৃত্যু আশেপাশেই আছে। ভুল করলেই জীবন বরবাদ। সোজা আল্লাহর পিয়ারী হতে হবে।
আজকের খাবার দুপুরে খাইছি।কোম্পানি মাছ দিয়ে খাবার দিয়েছে যা খুব কম মূল্যে। এই মূল্য আমার বেতন থেকে কেটে রাখা হবে।
আজ সিহাব ভাতিজা আসছিল। রাকিব ঢাকায় গেলো। দুই ভাতিজাকে সময় দিয়ে প্রায় রাত ১১টায় রুমে আসি।
আজকের গল্প এই পর্যন্ত । আল্লাহ হাফেজ।
RELATED POSTS
View all