আমার নানা বাড়ি চন্দনকোঠা, তানোর উপজেলা। নানা বাড়ি গ্রামে বিলের ধারে। আমার সময় কাটাতে ভালই লাগে। আগে মামার আমের বাগান ছিল। এখন আছে কিন্তু মামাতো ভাইয়দের।
আগে অনেক বড় বড় গাছ ছিল। মামা মারা যাওয়ার পর কেটে ফেলা হয়েছে। আবার গাছ লাগিয়েছে মামাতো ভাইয়েরা।
আজ ঘুরছিলাম মামার কথা খুব মনে পড়ছিল। মামা বেচে থাকতে সবাইকে নিয়ে সকালে চা খেতেন। কাপ ছিল সিরামিকের। অসাধারন ফ্লেভার ছিল তখনকার চায়ের। গুড়ো দুধ ছিল । আসল হাতে নিয়ে দুধ খেতে খুব মজাই লাগতো। এখনকার দুধের তো কোন মজা নাই। তখন ছিল অসাধারণ স্বাদের।
মামার একটা মাটির ঘর ছিল। মামা ছিলেন মারফতি লাইনের লোক। সাধুর হাট নামের একটা স্থান আছে। ওই সাধু টাইপের আর কি।মামা একটা একতারা ছিল। মরে যাওয়ার পর সে এক তারা দেখতে পাইনি।
মামার মাটির ঘরও যত্নের অভাবে বিলিন হয়ে গেছে। তবে আমার এক মামাতো ভাই সেই রকম ঘর করে রেখেছে। কিন্তু ব্যবিহার নাই। আগে বাগান পরিস্কার থাকতো। এখন আর আগের মতন নাই। মামা সংসার বিবাগী মানুষ। একাই থাকতেন ওই মাটির ঘরে। গান বলতেন একতারা বাজিয়ে। রাতে হতো সেই গান।
সব পরিবর্তনশীল তাই সবই পরিবর্তন হচ্ছে। শুধু স্মৃতির পাতায় কথা গুলো থেকে যাচ্ছে।